Posts

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Image
 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার (২০২৩:২০২৪) A-বিজ্ঞান, B-মানবিক, C-ব্যবসায় শিক্ষা  ইউনিটের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে। রেজাল্ট পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ঘুরে আসতে পারেন। তাছাড়াও, ১৬-০৩-২০২৪ ইং তারিখে D- সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।   D  ইউনিটের রেজাল্ট পেতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে চোখ রাখতে হবে।

বিমান।

 উড়োজাহাজ ল্যান্ড করার পর যাত্রী সব নেমে পড়লো। এয়ার হোস্টেজরা নিজ নিজ ডিউটি ছেড়ে চলে গেলো। পাইলটও ফিরে গেলো হোটেল রুমে। পরিচ্ছন্নকর্মীরা এসে বিমান পরিষ্কার করতে লাগলো। এর মধ্যে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী উড়োজাহাজের ককপিটের দিকে এগিয়ে গেলো। পাশেই একটা বই পেয়ে হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখতে লাগলো। বইয়ের উপরে লিখা- কীভাবে প্লেন চালাবেন। বইটি পেয়ে লোকটি খুশিতে আত্মহারা। এতো দিনের শখ পূরণ হতে চলেছে। আজকে এই বই পড়েই প্লেন ওড়াবো। বইয়ে সব ফর্মুলা দেওয়া আছে মনে করে সে পাইলটের সিটে বসে পড়লো।  বই খুলে বইয়ের প্রথম পাতায় লিখা দেখলো, প্লেনটির ইঞ্জিন চালু করতে লাল বাটনে টিপ দিন। সেও লাল বাটনে টিপ দিয়ে প্লেনের ইঞ্জিন চালু করে নিলো। পরের পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখলো, প্লেনটি চালাতে সবুজ বাটনে টিপ দিন। সেও ফর্মুলা অনুযায়ী সবুজ বাটনে টিপ দিলো। পরের পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখলো লিখা, প্লেনটি ওড়াতে লাল বাটনটি পুশ করুন। সবকিছু সহজ মনে করে লাল বাটন পুশ করে প্লেনটি আকাশে উড়িয়ে নিলো। সে তো মহা খুশি। এতো দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে ফেললো। কতই না সহজ প্লেন ওড়ানো!  কিন্তু আধা ঘণ্টা ওড়ানোর পর যখন প্লেন ল্যান্ড করতে চাইলো, তখন ব...

পুলিশ ভাই।

 আজকে সারারাত জেগে আমি যে শহরটা পাহারা দিবো, সে শহরেই আমার আজ রাতের ডিউটিতে মৃত্যু হলে কাল সকালে এই শহরেরই কেউ কেউ ঘুম থেকে উঠে আমার মৃত্যুতে আলহামদুলিল্লাহ বলবে!!!  কতটা অকৃতজ্ঞদের জন্য আমরা জীবন বাজি রাখি!!! এক্সিডেন্ট করে কেউ রাস্তায় পড়ে থাকলে পুলিশ ছাড়া কেউ ধরেনা, সবাই বলে পুলিশ আসুক। আত্মহত্যা করে বিকৃত চেহারা, পঁচা দুর্গন্ধ লাশের সাথী পুলিশই। যেই ফোন বা ল্যাপটপ দিয়ে পুলিশের মৃত্যুতে আলহামদুলিল্লাহ লিখছে সেটা হারিয়ে গেলেও উদ্ধারের জন্য পুলিশের কাছেই যায়।  প্রাকৃতিক, সামাজিক, মানবিক সকল দূর্যোগ, দুর্দিন, বিপর্যয়ে পুলিশই পাশে থাকে। গোটাকয়েক পুলিশের জন্য পুলিশবাহিনীর প্রতি এমন ঈর্ষা মোটেও কাম্য নয়। প্রত্যেককে স্ব স্ব কাজের হিসাব দিতে হবে। নিজের কর্মের প্রতি কতটুকু মনোযোগী আমরা!  নাকি অন্যের দোষকে তিল থেকে তাল বানিয়ে নিজেদেরকে জাহির করছি! রুচির দুর্ভিক্ষে আছি আমরা,  বিবেকের চেয়ে আবেগ বেশি আমাদের। আজকে যারা আমার মত পুলিশ সদস্যের মৃত্যুতে আলহামদুলিল্লাহ বলছেন, দোয়া করি তাদের মৃত্যুতে কেউ এমন কোনো শব্দ উচ্চারণ না করুক।

স্বস্তিকা এক রাতের জন্য কত নেন!!

 জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি যথেষ্ট সাহসী নারী।  তার ঠোঁটকাটা মানুষ হিসেবে বিশাল পরিচিতি রয়েছে। কেউ যদি তাকে অপমানজনক কিছু বলেন, তবে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার মানুষ স্বস্তিকা নন, উল্টে দু-কথা শুনিয়ে দিতে দ্বিধা করেন না তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে বিনোদন দুনিয়ার অভিনেত্রীদের খুব সহজেই টার্গেট করেন কিছু মানুষ। তবে তাদের শায়েস্তা করার জন্য স্বস্তিকা একাই একশো। মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয় স্বস্তিকাকে। ডিভোর্সী, সিঙ্গেল মাদার স্বস্তিকাকে নিয়ে চর্চার অন্ত নেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আবার তার পোশাক - পরিচ্ছদ নিয়েও কাটাছেঁড়া হয়। এবার টুইটারে জনৈক নেটিজেন স্বস্তিকাকে উদ্দেশ্য করে সরাসরিই অশ্লীল মন্তব্য করলেন। ওই লোক কিন্তু পাল্টা জবাবও পেলেন স্বস্তিকার কাছ থেকে। তন্ময় ঘোষ নামের জনৈক নেটিজেন টুইটারে স্বস্তিকাকে প্রশ্ন করেন, এক রাতের জন্য কত টাকা নেন ? তার জবাবে স্বস্তিকা যে উত্তর দেন, সেটারজন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউই। একটুও সময় না নিয়ে স্বস্তিকা লেখেন, স্যার, আপনার সেই সামর্থ্য নেই আপনি কল্পনাই করতে পারেন কেবল বিনামূল্যে, তাই সে চ...

নিহানের মা

 আজকেও নিহানের মা এসেছেন। এই নামিদামী স্কুলের বড়োলোক সব গার্জিয়ানদের ভীড়ে নিহানের মাকে আমার একটু অন্যরকম লাগে।   চেহারাটা বেশ শান্ত শান্ত। যতোবার দেখেছি শাড়ি পরাই দেখেছি। সুতি না হয় বেশিরভাগ সময়ই সুন্দর সুন্দর তাঁতের শাড়ি। আজকাল কেউ এতো নিয়মকরে শাড়ি পরে বাচ্চার স্কুলে আসে না। আমি নিজেও না। শাড়ির সাথে বিশাল লম্বা চুলের বেনি। গলায় একটা চেইন আর হাতে আংটি। এই তার সাজসজ্জা।  মেকাপ তো দূরের কথা ভুল করে ঐ গোলাপী ঠোটে কোনোদিন মনে হয় লিপস্টিকও দেন নাই।   টিফিন পিরিয়ডে স্কুলের ওয়েটিং রুমে নিহানের জন্য অপেক্ষা করেন। নিহানের মায়ের এমন ঝটিকা সফর আমাকে বেশ কৌতুহলী করে তোলে। দুই হাত ভর্তি ব্যাগ থাকে। কী কী থাকে সেই ব্যাগের ভেতর আমার মাঝে মাঝে দেখার খুব ইচ্ছা হয়! তবে বুঝি সব খাবারের বক্স কিংবা প্যাকেট।  ছুটির সময় ওয়েটিং রুমে বেশ ভীড় থাকে কিন্ত  টিফিন পিরিয়ডে উনি ছাড়া আর কেউ আসেনই না বলতে গেলে! পুরো রুমে শুধু মা আর ছেলে! . যেহেতু পাশেই আমাদের টিচার্স কমনরুম তাই দেখা হয়ে যায়। আর যখনই দেখা হয় ভদ্রমহিলা সালাম দিয়ে মুচকি হাসি দেন। আমিও হাসি। আর আমি দেখি নিহান আপনমনে খ...

কোলবালিশ

 গতকাল ফেসবুকে একটা ছবি পোস্ট করেছিলাম আর ছবির ক্যাপশন ছিলো,”এই রোমান্টিক আবহাওয়ায় যার বউ নাই তার কোলবালিশ আছে অথচ আমার বউ কোলবালিশ কোনটাই নাই ” আজ সকালে দেখি আমার গার্লফ্রেন্ড শ্রাবণী একটা  কোলবালিশ নিয়ে আমার অফিসে এসে হাজির। আমায় দেখে মিষ্টি হেসে বললো, “তোমার তো কেউ নেই তাই তোমার জন্য একটা কোলবালিশ নিয়ে আসলাম” আমি কিছুটা ভয়ে ভয়ে বললাম, -পোস্টটা তো আমি মজা করে করেছি। তুমি সিরিয়াসলি নিচ্ছো কেন? শ্রাবণী দাঁতে দাঁত চেপে নিজের রাগটা কন্ট্রোল করে বললো, - “তোমায় কে বলেছে রোমান্টিক আবহাওয়ায় একা একা থাকতে? এতোদিন বিয়ের কথা বললে বলতে, “আগে পড়াশোনাটা শেষ করি” পড়াশোনা শেষ হবার পর যখন বিয়ের কথা বললাম তখন বলেছো, “আগে একটা চাকরির ব্যবস্থা করি” এখন চাকরি পাবার পর যখন বিয়ের কথা বলি তুমি শুধু এই সমস্যা ওই সমস্যা দেখাও। সত্যি করে বলো তো তুমি কি চাও?” আমি বিড়বিড় করে বললাম, -শান্তি চাই। - “ঠিক বুঝলাম না? কি বলেছো তুমি?” আমি আমতা আমতা করে বললাম, - “আসলে সামনের মাসে আমার মামাতো বোনের বাচ্চা ডেলিভারি। ওর বাচ্চাটা হয়ে গেলেই আমরা বিয়ে করে নিবো?” শ্রাবণী অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, - “মামাতো বোনে...

রুপান্তর

 আমার ষাট বছর বয়সী বাবা হঠাৎ এক মাঝ রাতে স্ট্রোক করলো। এতে তার শরীরের ডান দিক অবশ হয়ে গেলো। ডান হাত, ডান পা কোনোটাই নাড়াতে পারে না। পুরো শরীর দুর্বল হয়ে গেলো। শোয়া থেকে নিজে উঠে বসতে পারে না, বসা থেকে উঠে দাঁড়াতে পারে না। তার ঠোঁট, জিহ্বা বেশ অসাড় হয়ে গেলো। তাই কথা হয়ে গেলো অনেকখানি অস্পষ্ট। অবশ্য মনোযোগ দিয়ে শুনলে বোঝা যায়।   বাবা ব্যবসায়ী ছিলো বলে সারাদিন বাইরে কাজে ব্যস্ত থাকতো। সারাক্ষণ বাইরে কাজে ব্যস্ত থাকা বাবা আচমকা কাজহীন হয়ে বাড়িতে বন্দী হয়ে গেলো। গোটা দিন বিছানায় শুয়ে থাকে। খাওয়া ও ওষুধ সেবনের সময় হাত দিয়ে ধরে তাকে বসানো হয়। তারপর আবার তাকে শুইয়ে দেয়া হয়।    ডাক্তার ওষুধের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যায়াম দিলো বাবাকে করানোর জন্য। আর বললো, তার সাথে যেনো কথা বলি, সময় কাটাই এবং তাকে ধরে ধরে হাঁটতে শেখাই।   মা সাধ্যমত বাবার সেবা করছে। কিন্তু মা'র বয়স হলো এবং সেও কিছুটা অসুস্থ। তাই মা চাইলেও বাবার জন্য বেশি কিছু করতে পারে না। একমাত্র সন্তান হিসেবে বাবাকে দেখাশোনার দায়িত্বটা ফলে আমার ওপরই সরাসরি পড়লো।     বাবার মানসিক জোর খুব ভালো। সুস্থ হয়ে ওঠার জন্...